এলিয়ন টয়োটা ক্যারিনার রিপ্লেস;আগে ক্যারিনা নামে আসত। এলিয়নকে কিন্তু প্রিমিওর টুইন বলা হয়। আসলেই তাই, দুটো গাড়িই সবসময় একসাথেই আসত, এমনকি এদের চেসিসও, বডি ল্যাংগুয়েজ, লেন্থ সবই একদম সেম। শুধুমাত্র এক্সটেরিওর ডিজাইনে একটু পরিবর্তন করা। বলে রাখা ভাল এগুলা জেডিএম মডেল ; মানে শুধু জাপানিদের জন্য।মানে এগুলা ব্যান্ড নিউ কিনতে পারবেন না; জাপান থেকে রিকন্ডিশন্ড আনতে হবে।
বর্তমানের এলিয়নের ২টা জেনারেশন চলছে। চলুন দেখা যাক জেনারেশনগুলো,
1st generation: এলিয়নের প্রথম জেনারেশন শুরু হয় ২০০১ থেকে যেটা ২০০৭ পর্যন্ত চলে৷
এগুলো ৩টা ইঞ্জিন ভেরিয়েশানে আসে যেমন,
1.5 liter
1.8 liter
2.0 liter
এর মধ্যে 1800cc টা ফোর হুইল ড্রাইভেও আসে। আবার 2000cc টা হয় CVT ট্রান্সমিশনের।
2nd generation: ২০০৭ এর পর থেকে সেকেন্ড জেনারেশন শুরু হয় যেটা এখনও পর্যন্ত চলছে।এবং ইঞ্জিন কনফিগারেশন আগের মতোই। এতে নতুন অপশন হিসেবে যোগ হয় পেছনের LED ল্যাম্প লাইট, স্মার্ট এন্ট্রি সিস্টেম এবং হার্ড ডিস্ক নেভিগেশান। এছাড়াও নতুন জেনারেশনের এলিয়নের ফুয়েল ইকোনমি অনেক ইমপ্রুভ করে টয়োটা।
Facelift 2010: ২০১০ সালের দিকে একটা ছোট্ট ফেসলিফ্ট আসে। মনে রাখবেন এটা কিন্তু নতুন জেনারেশন না ; ফেসলিফ্ট। এই ফেসলিফ্টে নতুন সার্প লুকিং ফ্রন্ট গ্রিল, হেডলাইট এড করা হয়, এছাড়াও পেছনের টেইল লাইটেও চেঞ্জ আনা হয়। বাদবাকি সব মোটামুটি একইরকম আগে যা ছিল
Facelift 2016: এখন নতুন যে এলিয়নটা আমারা দেখি সেটাও কিন্তু ফেসলিফ্ট যেটা ২০১৬ তে আসে। এটাকে বলা যেতে পারে সেকেন্ড জেনারেশনের সেকেন্ড ফেসলিফ্ট। এবারও তেমন বড় কোন চেঞ্জ আসে নাই। বিশাল গ্রিল যুক্ত হয়েছে,সাথে নতুন বাই-এলইডি লাইট যুক্ত হয়েছে সামনে পেছনে। এছাড়াও যোগ করা হয়েছে ‘টয়োটা সেফটি সেন্স’।
মোটামুটি এই ছিল এলিয়নের হিস্ট্রি। এলিয়ন প্রিমিও সবসময় একসাথেই প্রডিউস হত, এবং আশাকরা যায় ভবিষ্যতেও তাই হবে। আর এলিয়ন প্রিমিওর কোনরকম হাইব্রিড ভার্সন হয়না, হবে বলে মনেও হয়না।