গাড়িতে টায়ার হচ্ছে সবথেকে দরকারি অংশ। কিন্তু তার পরেও আমরা অনেকে গাড়ির টায়ারের দিকে তেমন নজরই দেইনা। মনে রাখবেন টায়ার যদি ফেইল করে আপনার সাথে আসেপাসের মানুষগুলোকেও বিপদে ফেলবেন। এমন অনেক ভয়াবহ এক্সিডেন্ট দেখেছি যেগুলো শুধুমাত্র ভালভাবে টায়ার মেনটেন না করার জন্য হয়েছে। তাই নিয়মিত টায়ারের দিকে নজর রাখা খুব দরকার। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব টায়ার কিভাবে দীর্ঘদিন ভাল রাখা যায়।

টায়ার প্রেশারঃ টায়ার প্রেশারের সাথে আপনার গাড়ির ব্রেকিং, হ্যান্ডেলিং,স্টিয়ারিং এবং মাইলেজের একটা দারুন সম্পর্ক আছে! ভুলভাল প্রেশার থাকলে ব্লোআউট হতে পারে যার কারনে আপনার হাত থেকে গাড়ির কন্ট্রোল হারাতে পারেন।
গাড়িকে এক্সিডেন্টের হাত থেকে বাচাতে প্রতিমাসে অন্তত একবার টায়ার প্রেশার চেক করুন স্পেয়ার টায়ার সহ। বড় কোন জার্নিতে যাওয়ার আগেও টায়ার প্রেশার চেক করার অভ্যাস করুন এটা আপনাকে বড় কোন দূর্ঘটনার হাত থেকে বাচিয়ে দেবে।

ফিজিক্যাল ইন্সপেকশনঃ আপনার ড্রাইভারকে বলুন মাঝে মাঝে সে যেন নিজে টায়ারগুলা চেক করে দেখে। বড় কোন স্কেচ বা কোন রাস্ট, ঘষা খাওয়া, বা টায়ারে কিছু ডুকে যাওয়া এইসব নিয়মিত চেক করতে হবে। যদি কোন প্রবলেম দেখে তাহলে মেকানিক দেখাতে হবে অনেকসময় রিপ্লেস ও করার দরকার হতে পারে।যদি কখনও ড্রাইভিং করার সময় ফিল করেন টায়ারের কিছু একটা হয়েছে সাথে সাথে স্পেয়ার টায়ারের সাথে রিপ্লেস করে চালান আসেপাসে কোন গ্যারেজ না পাওয়া পর্যন্ত; তবে মাথায় রাখবেন স্পেয়ার টায়ার যাস্ট টেম্পোরারি ইউজ এর জন্য বানানো হয়েছে।

টায়ারের ডেপথের দিকে খেয়াল রাখুনঃ টায়ার ট্রেড শুধু পার্ফমেন্সের উপরই ইমপ্যাক্ট ফেলে না এটা পুরো গাড়ির সেফটির উপরও চরম ইমপ্যাক্ট ফেলে স্পেশালি যখন ওয়েদার খারাপ থাকে।লিগ্যালি মিনিমাম ট্রেড ডেপথ হচ্ছ ১.৬ মিমি, এর থেকে কমে কোনভাবেই চালানো যাবনা গাড়ি। চালালে হাইলি রিস্কি হয়ে যাবে। তাই সঠিক ডেপথ থাকলে আপনার আর গাড়ির দুটোরই নিরাপদ।

ওভারলোড করবেন নাঃ ওভারলোড গাড়িতে সবসময় বাজে একটা প্রভাব ফেলে। একটি ওভারলোড হয়ে থাকা গাড়ির হ্যান্ডেলিং খারাপ হয়ে যাবে কারন টায়ারের অতিরিক্ত হিটের জন্য। এমনকি এর কারনে টায়ার ফেটে পর্যন্ত যেতে পারে। চিন্তা করুন রাস্তার মাঝখানে টায়ার ফেটে গেলে কি অবস্থা হবে তাই কখনোই ওভারলোড নিবেন না।

এ্যালাইমেন্ট ঠিক রাখুনঃ গাড়ির চাকার ভুল এ্যালাইনমেন্টও টায়ারের সমস্যা করতে পারে। ভুল এ্যালাইনমেন্টের কারনে চাকা যেমন ঘোরার কথা তেমন ঘুরবেনা, রাস্তার উপর কন্ট্রোলও লস করতে পারেন। তাই নতুন টায়ার লাগানোর সময় গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে সঠিকভাবে এ্যালাইনমেন্ট করে লাগাবেন।

ঘষা লাগা থেকে সাবধানঃ ধরুন কোন বিজি রোডে পার্ক করে আছেন, এখন গাড়ি বের করতে গিয়ে পাসে কোন পাথর বা রাস্তার সাইড ওয়ালে টায়ার ঘষা খেল। এরকম পরিস্তিতি যত পারেন এড়ানোর চেষ্টা করবেন। বারবার এরকম ঘষা খেতে খেতে টায়ারের সাইড ওয়াল ক্ষয়ে যাবেতাই মুভ করানোর সময় খেয়াল রাখুন আসেপাসে কোন অবস্টেকল আছে নাকি।

প্রাকটিস করুনঃ সব বেসিক মেনটান্যান্সের সাথে আপনার নিজেরও ড্রাইভিং হেভিটের দিক নজর দিতে হবে টায়ার টিপটপ কন্ডিশন রাখতে চাইলে। এক্সেসিভ এক্সেলেট বা ব্রেকিং, ট্রাফিকে ঘনঘন টান বা ব্রেক এইসব অভ্যাসের কারনে টায়ার তারাতারি ড্যামেজ হয়ে যায়।
এটা মাথায় রেখে যত পারেন স্মুথলি ড্রাইভ করুন আর এক্সেসিভ স্পীড এভয়েড করুন। তাহলে আপনার গাড়ির চাকা একদম টিপটপ কন্ডিশনে থাকবে।