স্পেয়ার টায়ার কি?

উত্তরঃ স্পেয়ার টায়ার হচ্ছে ইমারজেন্সী টায়ার যেটা গাড়ির পেছনে বুট স্পেসের নিচে থাকে। যদি কখনও গাড়ির চাকা লিক হয়ে যায় বা চাকার অবস্থা চালানোর মত না থাকে তখন আপনি এই স্পেয়ার চাকা লাগিয়ে গাড়ি রানিং রাখতে পারেন। এই চাকা লগানোর জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম টুল কিট গাড়ির সাথেই আসে (যদি না থাকে,তাহলে কিনে নিতে পারেন)।

কেন দেওয়া হয়?

উত্তরঃ কেন দেওয়া হয় সেটা আগেই বলেছি। এবার কথা বলব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নিয়ে, অনেকেই বলেন স্পেয়ার চাকা লাগিয়ে গাড়ি চলানো যায় কিনা?

আমি বলব, ভুলেও না। স্পেয়ার চাকা দেওয়া হয় সাধারণত এমন কোন জায়গায় আটকে টায়ার ফেটে গেল সেখানে আপনি ইন্সট্যান্ট হেল্প পাচ্ছেন না, এই অবস্থায় কোনরকম কাছাকাছি গ্যারেজে যাওয়ার জন্য স্পেয়ার টায়ার। এটা দিয়ে আপনি কখনোই নরমাল গাড়ি চালাতে পারবেন না। যাস্ট কোনরকম বাসা বা গ্যারেজ পর্যন্ত যাওয়ার জন্যই; এরপর খুলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।

স্পেয়ার টায়ার রাখার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় মাথায় রাখব?

উত্তরঃ প্রথমেই এটা মাথায় রাখেন যে স্পেয়ার টায়ার দিয়ে আপনি সর্বোচ্চ ১২০ কিলো পর্যন্ত যেতে পারেন তাও ৮০ কিলোমিটার পার আওয়ার স্পীডে; তাই এটা দিয়ে গাড়ি চালানোর চিন্তা ফেলে দিন। আর হ্যা, গাড়ির ডোর সাইডে স্পেয়ার টায়ারের জন্য প্রেশার দেওয়া থাকে; তো ওইমত প্রেশার দিয়ে রেখে দিবেন। এটা সবসময় সাথে রাখতে হবে কারন যে কোন সময় গাড়ি এ্যাক্সিডেন্ট করতে পারে, তখন স্পেয়ার টায়ার না থাকলে আরেকটা কিনে তারপর গাড়ি মুভ করতে হবে।

স্পেয়ার টায়ার দিয়ে কি নরমাল ড্রাইভিং স্টাইলে চালানো যাবে?

উত্তরঃ সাধারণত এগুলা হয় নরমাল টায়ার থেকে অনেক লো গ্রেডের। রাস্তার ঠিকমতো গ্রিপ পাওয়া যায়না, তারউপর হ্যান্ডেলিং ও তেমন খুব একটা ভাল ফিল দেয়না। কর্নারিং করার সময় সাবধানে করতে হয় না হয় স্কিড হবে। সবচেয়ে বড় কথা বাকি তিনটা চাকার টায়ার প্রেশারের সাথে বিশাল গ্যাপ; তাই কন্ট্রোল রাখা কঠিন হয়ে যায়। তাই অবশ্যই স্পেয়ার টায়ার দিয়ে চালানোর সময় খুব সাবধানে চালাতে হবে ; কিছুদিন আগেই ঢাকায় একজন মারা গেছেন যদি স্পেয়ার হুইল দিয়ে ১২৫ স্পীডে চালানোর সময় মারাত্মক এ্যাক্সিডেন্ট হয়।

 

 

♦ তবে হ্যা একটা কাজ করতে পারেন, স্পেয়ার টায়ার ব্যাবহার না করে বাকি টায়ার গুলোর একই প্রোফাইলের একটা টায়ার কিনে রেখে দিতে পারেন; তাহলে আর এত ঝামেলায় যেতে হবেনা।