বিশ্বব্যাপী যতগুলো বিষয় নিয়ে খুব যুক্তিতর্ক দেখা যায়, হোন্ডা এবং টয়োটার মধ্যকার পার্থক্য হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম।এদের জ্বালানী সক্ষমতা, পারফরম্যান্স, এবং এদের বডি হচ্ছে মূল বৈশিষ্ট্য যেগুলো এই দুটি ব্র্যান্ড কে একে অপরের থেকে আলাদা করেছে। চলুন, দেখা যাক এই দুটি গাড়ির মধ্যে পার্থক্যগুলো।এই দুটি গাড়ির ই প্রায় সমান সক্ষমতা রয়েছে। যে সকল বিষয় এই দুটি গাড়িকে আলাদা করেছে সেগুলো হচ্ছে

১. নির্ভরতাঃ প্রত্যেকটি গাড়ির স্থায়িত্ব এবং নির্ভরতার ক্ষেত্রে হোন্ডা এবং টয়োটা পলিশিং বা মসৃনতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

হোন্ডা ক্রেতাদের নিরাপত্তা এবং কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন বা তৃপ্তির বিষয়টিতে অনেক বেশী গুরুত্ব দেয়। বর্তমান সময়ে আমরা মনে করি টয়োটা কিনলে অনেক ভালো হবে এবং এটা আরো অনেক বেশী নির্ভরযোগ্য। কারন, গত কয়েক বছর ধরেই টয়োটা বাজারে সবচেয়ে বেশী দেখা যাচ্ছে। হোন্ডার স্থায়ীত্ব ও অনেক বেশী কিন্তু এটিকে অনেক বেশী রক্ষনাবেক্ষনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় বলে সময়, শ্রম, এবং খরচ বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, নির্ভরতার দিক দিয়ে হোন্ডার চেয়ে টয়োটা অনেক বেশী ভাল।

২. পারফরম্যান্সঃ হোন্ডা এবং টয়োটার মধ্যকার পার্থক্য বিশ্লেষন করে দেখা গিয়েছে যে হোন্ডার পারফরম্যান্স অনেক ভালো।

এর চমৎকার মসৃন গতি এবং গাড়ির নিয়ন্ত্রন করার যে টুলস গুলো আছে (স্টিয়ারিং, ব্রেক, অ্যাক্সেলারেটর) সেগুলো খুবই সংবেদনশীল অর্থাৎ, তাতক্ষনিকভাবেই কাজ করে। তাই হোন্ডার সাথে ভ্রমন আপনি একেবারে নিশ্চিতভাবেই উপভোগ করবেন। এরকম একটা গাড়ির উদহারন দিচ্ছি, হোন্ডার “ওডিসি” ভার্শন যেটা কিনা ৯.১ পারফরম্যান্স রেটিং অর্জন করেছে। টয়োটার “সিয়েনা” নামক একটি ভার্শন বের করেছে যার পারফরম্যান্স রেটিং ৮.৪। এই দুই গাড়ির পারফরম্যান্স রেটিং খুব কাছাকাছি মনে হলেও তাদের মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। কারন, গাড়ির পারফরম্যান্স নির্ধারনের ক্ষেত্রে মাত্র ০.৫০ রেটিং পয়েন্ট অনেক কিছু ম্যাটার করে। তাই আপনি যদি খুব হাই পারফরম্যান্স এর গাড়ি খুজে থাকেন, তাহলে চোখ বন্ধ করে হোন্ডা কিনে ফেলুন।

৩. ইন্টেরিয়রঃ পারফরম্যান্স এর পর যে বিষয়টি আমাদের চোখে আসে সেটি হচ্ছে গাড়ির অভ্যন্তরীন সৌন্দর্য্য।

হোন্ডার এই চমৎকার পারফরমেন্সের অন্যতম কারন হলো এর অভ্যন্তরীন মসৃণ এবং আকর্ষনীয় ডিজাইন। এর অনন্য ডিজাইন এবং গাড়ী তৈরীর উন্নত মেটেরিয়াল হোন্ডার প্রত্যেকটি গাড়িকে স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দান করেছে। টয়োটা তার গড়পড়তা খুব কমন ইন্টেরিয়র ডিজাইন দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষন করতে পারেনি। হোন্ডার ছোট এবং মাঝারি গাড়িগুলো এমনভাবে ডিজাইন করেছে যার ফলে এর সাইজ একে খুব বেশী ফ্যামিলি-ফ্রেন্ডলি বৈশিষ্ট্য দান করেছে।

৪. সাশ্রয়ী মূল্যঃ চলুন, এবার দেখা যাক এই দুই ধরনের গাড়ির দাম কেমন। হোন্ডা ক্রেতাদের সাধ্যের দিক টি খেয়াল রেখে অনেক ধরনের গাড়ি তৈরী করে থাকে।

হোন্ডার প্রাথমিক মুল্য ১৬০০০ ডলার। টয়োটা সিভিক গাড়িগুলোর মূল্য দাড়ায় ২০০০০ ডলার থেকে শুরু করে আরো উপরে। দুই গাড়ির ই মূল্য প্রায় কাছাকাছি। পার্থক্য শুধু ফ্লেক্সিবিলিটি তে।

এখানে লুকোনোর কিছু নেই যে টয়োটা গাড়িগুলো সবচেয়ে বেশী জ্বালানী সাশ্রয়ী এবং ড্রাইভিং এর জন্য খুবই নিরাপদ যাকে আপনি বছরের পর বছর নির্ভর করতে পারেন। তবে হোন্ডা এতটা জ্বালানী সাশ্রয়ি হতে পারে নি।